০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

রাজধানীর সড়কে উত্তেজনা

Md Reyadh
  • আপডেট সময় ১২:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বুধবার সকালে যমুনা ভবনের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কয়েকশ শিক্ষার্থী। তাঁদের তিনটি প্রধান দাবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে বৃত্তির ব্যবস্থা, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প বাস্তবায়ন। কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ লংমার্চ বেশি দূর এগোতে পারেনি—রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ বাধা দেয়, শুরু হয় লাঠিপেটা, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজধানীর বকশীবাজার, মিরপুর রোড এবং সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ বারবার বাধা দেয়। কিছু জায়গায় হঠাৎ হামলা করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় মিছিল। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

জবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পরও আমরা আবাসনের মতো মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু পুলিশ আমাদের মারধর করেছে।” অনেকে বলেন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ নেই।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

1. ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু।

2. পূর্ণ বাজেট অনুমোদন।

3. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প একনেকে অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।

 

ঘটনার পর আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পুলিশের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই চলবে।

বিশ্লেষকদের মতে, শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো যৌক্তিক এবং বাস্তবভিত্তিক। সরকারের উচিত তাদের সঙ্গে দ্রুত সংলাপে বসা এবং কার্যকর সমাধান দেওয়া। না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর সড়কে উত্তেজনা

আপডেট সময় ১২:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বুধবার সকালে যমুনা ভবনের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কয়েকশ শিক্ষার্থী। তাঁদের তিনটি প্রধান দাবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে বৃত্তির ব্যবস্থা, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প বাস্তবায়ন। কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ লংমার্চ বেশি দূর এগোতে পারেনি—রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ বাধা দেয়, শুরু হয় লাঠিপেটা, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজধানীর বকশীবাজার, মিরপুর রোড এবং সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ বারবার বাধা দেয়। কিছু জায়গায় হঠাৎ হামলা করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় মিছিল। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

জবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পরও আমরা আবাসনের মতো মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু পুলিশ আমাদের মারধর করেছে।” অনেকে বলেন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ নেই।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

1. ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু।

2. পূর্ণ বাজেট অনুমোদন।

3. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প একনেকে অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।

 

ঘটনার পর আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পুলিশের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই চলবে।

বিশ্লেষকদের মতে, শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো যৌক্তিক এবং বাস্তবভিত্তিক। সরকারের উচিত তাদের সঙ্গে দ্রুত সংলাপে বসা এবং কার্যকর সমাধান দেওয়া। না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।