
- আপডেট সময় ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / ৫০ বার পড়া হয়েছে
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের লড়াই একটি ঐতিহাসিক, ভূরাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল ইস্যু। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের সময় থেকেই এই সংঘাতের সূচনা, যা আজও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ হয়ে রয়ে গেছে।
১. বিভাজনের সময় কাশ্মীরের অনিশ্চয়তা
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে গেলে ভারত ও পাকিস্তান—এই দুই নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। দেশীয় রাজ্যগুলো স্বাধীনভাবে ভারত বা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, কিন্তু এর মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু। শুরুতে তিনি স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পাকিস্তান-সমর্থিত উপজাতিদের হামলার মুখে পড়ে তিনি ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং অ্যাকসেশন ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ভিত্তিতে ভারত কাশ্মীরে সেনা পাঠায়।
২. তিনটি বড় যুদ্ধ
কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে (কারগিল যুদ্ধ) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি বড় যুদ্ধ হয়। প্রতিটি যুদ্ধের পেছনে কাশ্মীর ইস্যুই কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে সংঘর্ষ হয়।
৩. আন্তর্জাতিক অবস্থান
ভারত দাবি করে, কাশ্মীর তার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করে যে, কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হওয়ায় এটি তাদের অংশ হওয়া উচিত। পাকিস্তান একে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরতে চায়, যেখানে ভারত তা অস্বীকার করে।
৪. কাশ্মীরিদের দুর্ভোগ
এই লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ। নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, অর্থনীতি—সব দিক থেকেই কাশ্মীরিরা decades ধরে অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে বাস করছে।
উপসংহার
কাশ্মীর ইস্যু শুধু দুটি দেশের মধ্যে ভূখণ্ডের লড়াই নয়, এটি আত্মপরিচয়, ধর্মীয় পরিচিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। যতদিন না আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান হয়, ততদিন এই সংঘাত চলতেই থাকবে।