১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

পেসার আয়ুশ সিং এবং বৈভব অরোরা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে

Md Reyadh
  • আপডেট সময় ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতের উদীয়মান পেসার আয়ুশ সিং এবং বৈভব অরোরা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আইপিএলে তাদের গতি, লাইন-লেন্থ এবং আগ্রাসী মানসিকতা ভারতের ভবিষ্যৎ পেস আক্রমণের আভাস দিচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ বয়সেই তাদের নিয়ন্ত্রিত আগুন ছোড়া বোলিং ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক—আমরাদের কি এমন তরুণ পেসার আছে, যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে একই আগ্রাসন দেখাতে পারে? উত্তরটা আশাব্যঞ্জক।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এরই মধ্যে তরুণদের একটি পুল গড়ে উঠছে। রিপন মণ্ডল, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এবং মুশফিক হাসানদের মতো পেসাররা জাতীয় লিগ ও ‘এ’ দলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন। বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের অধীনে তারা নিয়মিত স্কিল ট্রেনিং ও ফিটনেস প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এই পেসারদের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতা ও শারীরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আমাদের লক্ষ্য, শুধু স্পিড নয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংও শেখানো।”

ভারত যেখানে আইপিএলের মাধ্যমে তরুণদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছে, বাংলাদেশ সেখানে সঠিক গঠনমূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে ঘরোয়া লিগ ও ‘এ’ দলের মাধ্যমে প্রতিভা তুলে আনছে।

বাংলাদেশি তরুণ পেসারদের উন্নয়নের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ঢাকার উইকেটের পরিবর্তন এবং বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা। বিদেশি কন্ডিশনে ধারাবাহিক সুযোগ পেলে তারা সহজেই নিজেকে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যেতে পারবে।

সামনে বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট। ভারতীয় তরুণ পেসাররা প্রস্তুত—বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে নেই। এখন শুধু প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, আত্মবিশ্বাস আর সুযোগ কাজে লাগানোর বুদ্ধি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পেসার আয়ুশ সিং এবং বৈভব অরোরা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে

আপডেট সময় ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

ভারতের উদীয়মান পেসার আয়ুশ সিং এবং বৈভব অরোরা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আইপিএলে তাদের গতি, লাইন-লেন্থ এবং আগ্রাসী মানসিকতা ভারতের ভবিষ্যৎ পেস আক্রমণের আভাস দিচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ বয়সেই তাদের নিয়ন্ত্রিত আগুন ছোড়া বোলিং ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক—আমরাদের কি এমন তরুণ পেসার আছে, যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে একই আগ্রাসন দেখাতে পারে? উত্তরটা আশাব্যঞ্জক।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এরই মধ্যে তরুণদের একটি পুল গড়ে উঠছে। রিপন মণ্ডল, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এবং মুশফিক হাসানদের মতো পেসাররা জাতীয় লিগ ও ‘এ’ দলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন। বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের অধীনে তারা নিয়মিত স্কিল ট্রেনিং ও ফিটনেস প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এই পেসারদের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতা ও শারীরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আমাদের লক্ষ্য, শুধু স্পিড নয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংও শেখানো।”

ভারত যেখানে আইপিএলের মাধ্যমে তরুণদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছে, বাংলাদেশ সেখানে সঠিক গঠনমূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে ঘরোয়া লিগ ও ‘এ’ দলের মাধ্যমে প্রতিভা তুলে আনছে।

বাংলাদেশি তরুণ পেসারদের উন্নয়নের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ঢাকার উইকেটের পরিবর্তন এবং বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা। বিদেশি কন্ডিশনে ধারাবাহিক সুযোগ পেলে তারা সহজেই নিজেকে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যেতে পারবে।

সামনে বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট। ভারতীয় তরুণ পেসাররা প্রস্তুত—বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে নেই। এখন শুধু প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, আত্মবিশ্বাস আর সুযোগ কাজে লাগানোর বুদ্ধি।