১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্নীতলায় ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে দুদক ও জেলা প্রশাসকে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০২:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর পত্নীতলায় দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে নওগাঁ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে স্হানীয় এলাকাবাসী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ৮ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে ভুক্তভোগী মোঃ মেজবাবুল হোসেন ও এনসিপির নওগাঁ জেলার একটি টিম এই অভিযোগ দুদক ও জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এনামুল হক, উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাফর উদ্দিন, প্রসেস সার্ভার গোলাম কিবরিয়া ও পিওন মিজানুর এবং ঐ অফিসের প্রকাশ্য দালাল চক্র খোরশেদ আলম তারা ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করছেন না। এমনকি যারা ঘুষ দিতে চায়না তাদের কোন কাজ হয়না।
ভুক্তভোগী মেজবাবুল হোসেন বলেন, আমি খাজনা দিতে গেলে অফিসের সহকারী নায়েব জাফর বলেন যে ৩০০ টাকা লাগবে না দিলে হোল্ডিং এর হিসাব দিবে না। এরপর আমি যাই প্রধান নায়েব এনামুল হকের কাছে। উনার চাহিদা আরো বেশি। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় উনারা আমার সাথে চরম দূর ব্যবহার করেন। প্রকাশ্য দালাল খোরশেদ আলম আমাকে বিপদে ফেলার জন্য আমার হোল্ডিং থেকে জমির পরিমাণ কম করে দেন।
ভুক্তভোগী আলম বলেন, আমি জমি খারিজের জন্য উক্ত অফিসে গেলে এনামুল হক ও দালাল খোরশেদ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেয়।
ভুক্তভোগী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমি জমির খাজনার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসের প্রধান এনামুল হক তার দালাল খোরশেদ এর মাধ্যমে আমার কাছে টাকা চায়। কিন্তু আমি যখন আমার আর্মির পরিচয় দেয় তখন টাকা দেওয়া লাগেনা। কিন্তু সাধারণ মানুষ কিভাবে মাফ পাবে।
এনসিপির নওগাঁ জেলার অন্যতম সংগঠক ইমরুল আখিয়ার পরাগ ও আসাদুজ্জামান জানান, আমরা এনসিপির ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের একটি টিম দুদক ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতে আকারে প্রমাণ সহ জমা দিয়েছি। যারা স্বৈরাচারের দোসর তারা যেন কোন ভাবেই ছাড় না পায়। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষরা এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ট্যাগস :