১২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: প্রতিহিংসার অভিযোগে রিয়া মনিকে দায়ী করলেন

Md Reyadh
  • আপডেট সময় ০৭:১২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: প্রতিহিংসার অভিযোগে রিয়া মনিকে দায়ী করলেন

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হিরো আলম এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

হিরো আলমের দাবি, তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দেওয়ায় প্রতিহিংসাবশত তিনি এই মামলা করিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিজের ভুলের কারণে রিয়া মনির ডিভোর্স হয়েছে। এখন মাঝখান থেকে রিয়া মনি অন্য মেয়েকে নিয়ে খেলছে, গুজব ছড়াচ্ছে। চালবাজি করে রিয়া মনি আমাকে হয়রানি করতে অন্য একটি মেয়েকে দিয়ে খেলা খেলছে, তাকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা দিয়েছে।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হিরো আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে এক মৌলভি ডেকে কবুল পড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলমসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে মারধর করেন। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর গর্ভপাত ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হিরো আলম বলেছেন, “ধর্ষণ মামলা শুধু করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে। তিনি (বাদী নারী) যদি ধর্ষণ প্রমাণ করতে পারেন, তবে অবশ্যই তাঁকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেব। বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারলে, বাচ্চা নষ্ট করা এবং শারীরিক সম্পর্ক থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে অবশ্যই শাস্তি মেনে নেব।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে রিয়া মনি এবং ওই নারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”

এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে হিরো আলমের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন, আবার অনেকেই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: প্রতিহিংসার অভিযোগে রিয়া মনিকে দায়ী করলেন

আপডেট সময় ০৭:১২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: প্রতিহিংসার অভিযোগে রিয়া মনিকে দায়ী করলেন

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হিরো আলম এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

হিরো আলমের দাবি, তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দেওয়ায় প্রতিহিংসাবশত তিনি এই মামলা করিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিজের ভুলের কারণে রিয়া মনির ডিভোর্স হয়েছে। এখন মাঝখান থেকে রিয়া মনি অন্য মেয়েকে নিয়ে খেলছে, গুজব ছড়াচ্ছে। চালবাজি করে রিয়া মনি আমাকে হয়রানি করতে অন্য একটি মেয়েকে দিয়ে খেলা খেলছে, তাকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা দিয়েছে।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হিরো আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে এক মৌলভি ডেকে কবুল পড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলমসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে মারধর করেন। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর গর্ভপাত ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হিরো আলম বলেছেন, “ধর্ষণ মামলা শুধু করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে। তিনি (বাদী নারী) যদি ধর্ষণ প্রমাণ করতে পারেন, তবে অবশ্যই তাঁকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেব। বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারলে, বাচ্চা নষ্ট করা এবং শারীরিক সম্পর্ক থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে অবশ্যই শাস্তি মেনে নেব।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে রিয়া মনি এবং ওই নারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”

এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে হিরো আলমের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন, আবার অনেকেই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।