১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা

Md Reyadh
  • আপডেট সময় ০৫:২০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১২ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা দেশি-বিদেশি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ।

সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) এবং ২০২৫ সালের সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই আইনের আওতায় দলটির সকল ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দলটি এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর পূর্বে দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর ।

এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা

আপডেট সময় ০৫:২০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১২ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা দেশি-বিদেশি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ।

সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) এবং ২০২৫ সালের সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই আইনের আওতায় দলটির সকল ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দলটি এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর পূর্বে দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর ।

এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।