দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সীমান্ত উত্তেজনা ও সংঘাত।

- আপডেট সময় ০৯:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সীমান্ত উত্তেজনা ও সংঘাত। কখনো কারগিল যুদ্ধ, কখনো পুলওয়ামা হামলার পাল্টা জবাব—এই দুই দেশের সম্পর্ক প্রায়ই যুদ্ধংদেহী হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংঘাতে আসল ক্ষতিগ্রস্ত কারা?
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ হোক বা সীমান্তে গোলাগুলি—সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয় দুই দেশের সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের সীমান্ত গ্রামগুলোতে প্রায়ই গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভাঙে মানুষদের। স্কুল বন্ধ, ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস, ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়া—এসব হয়ে উঠেছে তাদের জীবনের অংশ।
বিশেষ করে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও ভারতের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা আর সহিংসতার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। অনেক সময় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ফলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ—সবাইই ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবার হারানোর যন্ত্রণা, স্থায়ী পঙ্গুত্ব, মানসিক অবসাদ—এসব এখন সীমান্তবাসীদের নিত্যসঙ্গী।
এ ছাড়া কৃষিকাজও এই সংঘাতের কারণে ব্যাহত হয়। জমিতে গোলাবারুদ পড়ার ভয়, চাষের সময় গোলাগুলি শুরু হওয়া—এসব কারণে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় সীমান্তের কৃষকেরা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহু বছর ধরে দুই দেশকেই আহ্বান জানিয়ে আসছে যাতে সংঘাতের স্থায়ী সমাধান বের করা যায় এবং সীমান্তবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ ও অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে বাস্তবে সেই উদ্যোগ খুব কমই দেখা যায়।
সুতরাং, দুই দেশের সংঘাত চলতে থাকলে কূটনীতিক মহল যতই বিবৃতি দিক না কেন, ক্ষতির মূল বোঝা বহন করতে হয় সীমান্ত অঞ্চলের সেই সাধারণ মানুষকেই, যাদের অপরাধ শুধু একটাই—তারা ভুল স্থানে জন্মেছেন।