১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

“গরমে কখন গোসল করবেন? সঠিক সময় জানলেই মিলবে আরাম ও সতেজতা”

Md Reyadh
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

দেশজুড়ে চলমান প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষ দিশেহারা। দিনভর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এমতাবস্থায় গোসল যেন একমাত্র পরিত্রাণ! কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—গরমে দিনের কোন সময়ে গোসল করলে সবচেয়ে বেশি আরাম ও স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের দিনে গোসল শুধু শরীর ঠান্ডা করার জন্য নয়, বরং সঠিক সময়ে গোসল করলে তা মন এবং ঘুমের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করলে শরীর সতেজ হয়, ঘুমের জড়তা কেটে যায় এবং নতুন দিনের কাজের জন্য তৈরি হওয়া যায়। বিশেষ করে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে হালকা কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করাই উত্তম।

অন্যদিকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় গোসল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে, সারাদিনের ধুলাবালি ও ঘাম দূর করে এবং ঘুমের আগে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনে দিনে একবারই গোসল করেন, তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে দিনে দুইবার গোসল করাও স্বাভাবিক এবং উপকারী।

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফ হোসেন বলেন, “গরমে শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। ফলে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সময়মতো গোসল করাটা অত্যন্ত জরুরি। তবে বিকেলের দিকে একটু ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে স্নায়ুতন্ত্রও শান্ত হয়।”

তবে খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ হঠাৎ তাপমাত্রার পার্থক্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গরমে ঘেমে গিয়ে অনেকেই তৎক্ষণাৎ ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে পানি শরীরে লাগিয়ে গোসল করাই নিরাপদ।

সুতরাং, গরমে গোসল করা মানেই শুধু ঠান্ডা পাওয়া নয়—ঠিক সময় ও সঠিক পদ্ধতিতে গোসলই আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“গরমে কখন গোসল করবেন? সঠিক সময় জানলেই মিলবে আরাম ও সতেজতা”

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

দেশজুড়ে চলমান প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষ দিশেহারা। দিনভর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এমতাবস্থায় গোসল যেন একমাত্র পরিত্রাণ! কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—গরমে দিনের কোন সময়ে গোসল করলে সবচেয়ে বেশি আরাম ও স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের দিনে গোসল শুধু শরীর ঠান্ডা করার জন্য নয়, বরং সঠিক সময়ে গোসল করলে তা মন এবং ঘুমের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করলে শরীর সতেজ হয়, ঘুমের জড়তা কেটে যায় এবং নতুন দিনের কাজের জন্য তৈরি হওয়া যায়। বিশেষ করে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে হালকা কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করাই উত্তম।

অন্যদিকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় গোসল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে, সারাদিনের ধুলাবালি ও ঘাম দূর করে এবং ঘুমের আগে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনে দিনে একবারই গোসল করেন, তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে দিনে দুইবার গোসল করাও স্বাভাবিক এবং উপকারী।

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফ হোসেন বলেন, “গরমে শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। ফলে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সময়মতো গোসল করাটা অত্যন্ত জরুরি। তবে বিকেলের দিকে একটু ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে স্নায়ুতন্ত্রও শান্ত হয়।”

তবে খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ হঠাৎ তাপমাত্রার পার্থক্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গরমে ঘেমে গিয়ে অনেকেই তৎক্ষণাৎ ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে পানি শরীরে লাগিয়ে গোসল করাই নিরাপদ।

সুতরাং, গরমে গোসল করা মানেই শুধু ঠান্ডা পাওয়া নয়—ঠিক সময় ও সঠিক পদ্ধতিতে গোসলই আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।