এনবিআর বিলুপ্তির ব্যাখ্যা দিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং: করব্যবস্থার দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত

- আপডেট সময় ০৩:২৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ প্রতিবেদন:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের পেছনে করব্যবস্থার আধুনিকায়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রেস উইংয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এনবিআর প্রতিষ্ঠার পর ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ, যা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই অনুপাত কমপক্ষে ১০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন।
একই সংস্থার মাধ্যমে করনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে স্বার্থের সংঘাত এবং জবাবদিহির অভাব দেখা দিয়েছে। কর কর্মকর্তারা নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন উভয় দায়িত্ব পালন করায় কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা দেখা গেছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’। রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রণয়ন, করহার নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। অন্যদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর আদায়, নিরীক্ষা এবং আইন প্রয়োগের দায়িত্বে থাকবে।
এই কাঠামো পরিবর্তনের মাধ্যমে করনীতিতে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে প্রেস উইং আশা প্রকাশ করেছে। এছাড়া, করজাল সম্প্রসারণ এবং কর ফাঁকি রোধে এই পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এনবিআর বিলুপ্ত হলেও রাজস্ব আদায়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, “সারা পৃথিবীতেই রাজস্ব আদায় এবং ব্যবস্থাপনা আলাদা আলাদা থাকে। আলাদা করার কারণে রাজস্ব কর্মকর্তাদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে করব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সরকার আশা করছে।