ইইউর চোখে বাংলাদেশ নির্বাচন: ‘সুষ্ঠু হোক, কিন্তু সময় নির্ধারণ নয় আমাদের কাজ’

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আজ (৬ মে, ২০২৫) এক গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তবে নির্বাচন কবে হবে, তা নির্ধারণ করা আমাদের কাজ নয়।”

ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইটলি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসনের পক্ষে। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হলে দেশ এবং জনগণ উপকৃত হবে।”

এছাড়াও হোয়াইটলি জানান, বাংলাদেশ সরকার ইইউকে একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। তবে ইইউর প্রতিনিধিরা দেশজুড়ে কাজ করবে কি না, সেটি নির্ভর করবে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক পরিবেশ ও লজিস্টিক প্রস্তুতির ওপর।

অন্যদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণ করা একান্তই বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।”

এমন বক্তব্য অনেক বিশ্লেষক ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন অবস্থান বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে, সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণের প্রত্যাশা বাড়বে আন্তর্জাতিক মহলে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এবং সেই নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা বিতর্ক ছিল। তাই ২০২৫-২৬ সালের নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য সেই গুরুত্বকেই নতুন মাত্রা দিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইইউর প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং পরবর্তীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।